স্টাফ রিপোর্টার :: বাঁধ ভেঙে বোরো ফসলহানির ঘটনায় সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে ওএমএস (অপেন মার্কেট সেল) চাল বিক্রির পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এটি বাড়ানো হয়েছে। ওএমএস’র ৪৫ টি কেন্দ্রেই ২০০ জনের স্থলে ৪০০ জন মানুষ চাল ক্রয় করতে পারবেন। অর্থাৎ ওএমএস কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন ১ টন চালের স্থলে ২ টন চাল বিক্রয় হবে।
বুধবার রাতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব মো. নুরুল ইসলাম শেখ খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই নির্দেশনা প্রদান করেছেন। খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ, বণ্টন ও বিপণন বিভাগের উপ পরিচালক মো. হেদায়েতুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানানো হয়।
খাদ্য অধিদপ্তরের চিঠিতে সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে সুনামগঞ্জের ৪২ জন ডিলার
১ টন চালের পরিবর্তে ২ মে. টন করে চাল বিক্রি করবেন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ওএমএস’র চাল বিক্রির এই কার্যক্রম চালু থাকবে।
সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রউফ জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা বুধবার রাতে আমরা পেয়েছি। এখন জেলার ৪৫ ওএমএস ডিলার ১ মে. টনের স্থলে ২ মে. টন করে চাল বিক্রয় করবেন। চালের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ায় এখন ৫ কেজি করে ২০০ জনের স্থলে ৪০০ জন মানুষ একজন ডিলারের কাছ থেকে প্রতিদিন চাল ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ওএমএস এর চাল না পেয়ে প্রতিদিনই শত শত মানুষ খালি হাতে বাড়ি ফিরছিল বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনসহ নানা সামাজিক সংগঠন ওএমএস’এর চালের পরিমাণ ও ডিলারের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
Leave a Reply