1. forarup@gmail.com : jagannthpur25 :
  2. jpur24@gmail.com : Jagannathpur 24 : Jagannathpur 24
এসপি বাবুল কোন পথ বেছে নিবেন চাকুরিচ্যুতি না জেল - জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন

এসপি বাবুল কোন পথ বেছে নিবেন চাকুরিচ্যুতি না জেল

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬
  • ২১৯ Time View

জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডেস্ক:; গত শুক্রবার রাতে এসপি বাবুল আক্তারকে ডিবি কার্যালয়ে টানা ১৫ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুটি শর্ত দেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।

উপকমিশনারের কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ডিআইজি পদমর্যাদার তিনজন কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ওই সময় বাবুলকে দুটি শর্ত দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সব তথ্য-প্রমাণ তাঁদের হাতে রয়েছে। তাঁকে জেলে যেতে হবে অথবা বাহিনী থেকে সরে যেতে হবে। বাহিনী থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে বাবুল সম্মতি দেন বলে জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আসামীদের সনাক্ত করতে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বললেও স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনার পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের চাকরিতে ফেরা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পুলিশ বাহিনীতে তাঁর ফেরার সম্ভবনা খুব কম বলে একটি সূত্রের বরাতে দৈনিক প্রথম আলো তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, কর্মকর্তাদের একটি অংশ চায় না, তিনি আর বাহিনীতে ফিরে আসুন। পুলিশ বাহিনীর ভেতরেও এ নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

বাবুলের এক স্বজন বলেন, ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকে কাজে ফেরা নিয়ে বাবুলের মধ্যেও সংশয় তৈরি হয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এরপর ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখানে যে পুলিশ পাহারা ছিল। তাকে নজরদারি করা হচ্ছে বলেও খবর বের হয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে। তবে গতকাল পুলিশ পাহারা তুলে নেওয়া হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে থাকা দুজন কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক ছাড়া এ ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারবেন না।

এদিকে গত রোববার রাতে দুই আসামি আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে পরস্পরবিরোধী তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে। জবানবন্দিতে আসামি মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম বলেছেন, তিনি ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন। তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে কামরুল সিকদার ওরফে মুছা গুলি করেন মাহমুদাকে। আরেক আসামি মো. আনোয়ার বলেছেন, মাহমুদাকে গুলি করেছে ওয়াসিম। তার গুলিতেই বাবুল আক্তারের স্ত্রী মারা যান।

মুছাকে আটক করা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে গতকাল সোমবারও পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট নগর পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে সংবাদমাধ্যমে বলেন, মাহমুদা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া সাত-আটজন আসামি পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও গতকাল মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, এ হত্যার সঙ্গে জড়িত আরও দু-একজন ধরা পড়বে বলে তিনি নিশ্চিত। মাহমুদা হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করা হয়েছে। বাবুল আক্তারকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্দেহভাজন আসামিদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে মন্ত্রী আজ জানান,বাবুল কে নজরদারীতে রাখা হচ্ছে না তিনি মুক্ত আছেন।

তবে এ মামলার যে দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, তাঁদের শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার সাংবাদিকদের জানান। ফলে বাবুলকে কোন আসামির মুখোমুখি করা হয়েছিল, তা জানা যায়নি।

এর আগে গত রোববার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াসিমের গুলিতেই মাহমুদার মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার বিকেল থেকে রাত ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের আদালতে পৃথকভাবে দেওয়া জবানবন্দিতে মাহমুদা হত্যার বিবরণ দেন দুই আসামি। আসামি ওয়াসিমের জবানবন্দি ১৪ পৃষ্ঠার এবং আনোয়ারের জবানবন্দি ১০ পৃষ্ঠার। দুই আসামি বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, “মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি সরবরাহ করেছিলেন ভোলা নামের এক ব্যক্তি।”

৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম। ঘটনার পর পুলিশ জানায়, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তারের সাহসী ভূমিকা ছিল। এ কারণে জঙ্গিরা তাঁর স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারে। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।

সূত্র: প্রথম আলো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩
Design & Developed By ThemesBazar.Com