1. forarup@gmail.com : jagannthpur25 :
  2. jpur24@gmail.com : Jagannathpur 24 : Jagannathpur 24
জগন্নাথপুরের ছয় ইউনিয়নেই বিএনপিসহ২০ দলীয় জোটের লজ্জাজনক ভরাডুবি - জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায়ের মৃতু্তে বিএনপির শোক প্রকাশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়বে কিনা, জানা যাবে শনিবার মসজিদের মালিকানা মহান আল্লাহর জগন্নাথপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় শংকর রায়ের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব শংকর রায়ের মৃত্যুতে এমএ মান্নান এমপিসহ বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি/ ২২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু জগন্নাথপুরের সাংবাদিকতার ইতিহাস শংকর রায় নিরানব্বই জন হত্যাকারীর অপরাধ ক্ষমা, তওবার শিক্ষা দিলেন নবী (সা.) বরণ্য সাংবাদিক শংকর রায়ের মৃত্যু জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকম পরিবারের শোক প্রকাশ জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায় আর নেই

জগন্নাথপুরের ছয় ইউনিয়নেই বিএনপিসহ২০ দলীয় জোটের লজ্জাজনক ভরাডুবি

  • Update Time : সোমবার, ৩০ মে, ২০১৬
  • ৫১৩ Time View

বিশেষ প্রতিনিধি::প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের নির্বাচনেই লজ্জজনক ভরাডুবি হয়েছে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীদের। উপজেলার কোন ইউনিয়নেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপির প্রার্থীরা। দুটি ইউনিয়নে জামানতও হারিয়েছেন জোটের দুই প্রার্থী। উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কর্নেল অব. আলী আহমদ এই অবস্থার জন্য প্রার্থী মনোনয়নে ভুল এবং জোটের শরিক দলের নেতা সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশাকে দায়ি করেছেন। অন্যদিকে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড. মাওলানা শাহীনুর পাশা পরাজয়ের জন্য বিএনপি’র কোন্দল ও কর্নেল অব. আলীর অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন। ২৮ মে (শনিবার) এই উপজেলার ৬ ইউনিয়নে নির্বাচন হয়।
উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী জালাল উদ্দিনের অবস্থান ৫ নম্বরে ছিল। এই ইউনিয়নে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মো. মখলুছ মিয়া ৩১০৭ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মঞ্জুর আলী আফজাল ২৯৪০ ভোট পেয়ে নিকটতম হয়েছেন। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. দবিরুল ইসলাম
পেয়েছেন ২৮৭৭ ভোট, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আপ্তাব উদ্দিন পেয়েছেন ২৩৮৯ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী ১৪০৮ ভোট পেয়ে ৫ম অবস্থানে ছিলেন।
আশারকান্দি ইউনিয়নে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহ্ আবু ইমানী ৩৮৯৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আব্দুল আহাদ মদরিছ ৩৭৯৯ ভোট পেয়ে নিকটতম হয়েছেন। আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী আয়ুব খান পেয়েছেন ৩৫২১ ভোট এবং বিএনপির মো. ফখরুল ইসলাম ১৪২১ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন।
সৈয়দপুর-শাহাড়পাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ তৈয়ব মিয়া কামালী ৪৩৮৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল হাসান ৪৩৩২ ভোট পেয়ে নিকটতম হয়েছেন। বিএনপি’র সৈয়দ মুসাব্বির আহমদ ২৭১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন।
চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আরশ মিয়া ৫৫৯৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন রাশিদ ৫৫০৯ ভোট পেয়ে নিকটতম হয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রব ৩১৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
কলকলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আব্দুল হাসিম ৫৯৩৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীপক কান্তি দে ৪৯৯৮ ভোট পেয়ে নিকটতম হয়েছেন। বিএনপির মো. রফিক মিয়া এখানে ২৩০০ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন।
পাটলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সিরাজুল হক ৫৪০৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের মো. আঙ্গুর মিয়া ৩৩৬০ ভোট পেয়ে নিকটতম হয়েছেন। বিএনপির রফিকুল ইসলাম রফু ৫২৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল অব. আলী আহমদ বলেন, ‘আন্দোলনের জনপ্রিয় প্রার্থীদের না দিয়ে নি¤œমানের প্রবাসীদের মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা ভাল করতে পারিনি। কলকলিয়া, চিলাউড়া ও পাইলগাঁওয়ে অজনপ্রিয় প্রবাসী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই ইউনিয়নে যাদের প্রার্থী করা হয়েছে, এদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই, এ কারণে লজ্জাজনক পরাজয় হয়েছে, এছাড়া কিছু কিছু স্বার্থান্বেষী নেতারা প্রকাশ্যে দলের প্রার্থীর সঙ্গে থাকলেও গোপনে অন্য প্রার্থীর সঙ্গে আঁতাত করেছেন, জগন্নাথপু-দক্ষিণ সুনামগঞ্জের জোটের সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা শাহীনুর পাশার কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী ৬২ ভোট পেয়েছেন, শাহীনুর পাশার দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা সৈয়দ শামীম আহমদ সৈয়দপুরে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন, এসব নানা কারণে জোটের প্রার্থীদের এই অবস্থা হয়েছে’। তিনি বলেন,‘শাহীনুর পাশা সংসদ সদস্য পদে নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য ৬ ইউনিয়নেই বিএনপি প্রার্থীদের বিপক্ষে গোপনে কাজ করেছেন, আবার প্রকাশ্যে আধাঘণ্টার জন্য এক এক ইউনিয়নে প্রচারণার নাটক করেছেন এবং প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন শুনেছি’।
অন্যদিকে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. মাওলানা শাহীনুর পাশা দুয়েকটি কেন্দ্র ছাড়া বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে জানিয়ে বলেন,‘৬ ইউনিয়নের ৪ ইউনিয়নেই জোটের প্রার্থী করা হয়েছে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের, এতে স্থানীয়ভাবে যারা রাজনীতি করে তারা ক্ষুব্ধ ছিল, পাইলগাঁও ইউনিয়নে জোটের প্রার্থীকে ঠেকাতে বিএনপি’র ৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, এখানে আমাদের ভোট বিভক্ত হয়ে গেছে, কলকলিয়া ইউনিয়নেই ৬ ইউনিয়নের মধ্যে জোটের শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন বিএনপি নেতা রফিক মিয়া, কর্নেল অব. আলী সমর্থিত মনোনয়ন প্রত্যাশী এক নেতা শ্রীধরপাশা-সাদীপুর এলাকায় প্রকাশ্যে তাঁর (রফিক মিয়া’র) বিরোধিতা করেছেন, তিনি নিজেও (কর্নেল অব. আলী) কলকলিয়া ইউনিয়নে একদিনও প্রচারণায় আসেননি, এ কারণে এই ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেননি জোটের প্রার্থী রফিক মিয়া, পাটলী ইউনিয়নে জোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়ে নামেন বিএনপি’র ইউনিয়ন কমিটির নেতারা, পরে আমি চেষ্টা করলেও সকলকে ফেরানো যায়নি, সৈয়দপুরে মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ আধাঘণ্টার জন্য নৌকার পক্ষে প্রচারণায় থাকলেও জমিয়তের ৪’শ নেতা কর্মী এখানে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন, কর্নেল অব. আলী কেন্দ্রে মুচলেকা দিয়ে সৈয়দপুরে মুসাব্বিরকে জোট প্রার্থী করেছেন, সে (মুসাব্বির) পরাজিত হওয়ায় জোট নির্বাচনে গেলে তাঁর (কর্নেল অব. আলী’র) আর সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন চাওয়ার সুযোগ নেই, এজন্যই তিনি আমার বিরুদ্ধে আবুল-তাবুল বকছেন, আমি কোন প্রার্থীর নিকট থেকে টাকা নেবার প্রশ্নই ওঠে না, আমি নিজের টাকায় প্রার্থীদের প্রচারণার খরচ যুগিয়েছি’। শাহীনুর পাশা বললেন, ‘বিএনপিতে প্রকাশ্যে ৩ গ্রুপ থাকায় জোট প্রার্থীদের এমন অবস্থা হয়েছে,’।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন,‘জগন্নাথপুরে আমাদের প্রার্থীরা কেন ভালো করলো না খতিয়ে দেখা হবে’।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩
Design & Developed By ThemesBazar.Com