1. forarup@gmail.com : jagannthpur25 :
  2. jpur24@gmail.com : Jagannathpur 24 : Jagannathpur 24
জগন্নাথপুরে দ্বিতীয় দফায়ও শেষ হয়নি বেড়িবাঁধের কাজ, এখনও মাটি পড়েনি কয়েকটি স্থানে - জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন

জগন্নাথপুরে দ্বিতীয় দফায়ও শেষ হয়নি বেড়িবাঁধের কাজ, এখনও মাটি পড়েনি কয়েকটি স্থানে

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮
  • ২৩৯ Time View

আলী আহমদ :: জগন্নাথপুরে দ্বিতীয় দফা সময় পেরিয়ে গেলেও ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়নি। বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দফা সময়সীমা। এখনও মাটি পড়েনি কয়েকটি বেড়িবাঁধের স্থানে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাঁধের কাজ শেষ করার নির্ধারিত সময়সীমা থাকলেও ওই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়াতে ১৫ মার্চ পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে সময় বৃদ্ধি করে বাঁধের কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে ৮৮ শতাংশ বেড়িবাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে বাড়ানো সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ না হওয়ায় ফসল নিয়ে শঙ্কার ভুগচ্ছেন কৃষকরা ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানায়, জেলার অন্যতম জগন্নাথপুরের সর্ববৃহৎ নলুয়া, মইয়া ও পিংলার হাওরসহ ছোট বড় ১৫টি হাওরের এবার বোরো ফসলরক্ষায় ৯২টি পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে উন্নয়নখাত (এডিপি) থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে চার কোটি ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকা, কাবিটা (অনন্নয়নখাত) থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ ২৯ হাজার টাকা। ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ করার কথা থাকলেও প্রাক্কলন তৈরী করে কার্যাদেশ প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় এবার কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে।
নলুয়া ও মইয়ার হাওরসহ কয়েকটি হাওর সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নলুয়া হাওরের পোল্ডার-১ এর মইয়ার হাওরস্থ ১০৮ নম্বর পিআইসির বেশ কিছু অংশে মাটি পড়েনি। শুধু ওই প্রকল্পের একটি ভাঙা অংশে মাটির কাজ হয়েছে। এ প্রকল্পের পাশের ১১০ নম্বর প্রকল্পের পুরাপুরি কাজ শেষ হয়নি। এখনও কিছু অংশে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। এছাড়াও টাংঙ্গুয়া হাওরের গয়াসপুর এলাকায় ৩১ ও ৩২ নং পিআইসির বিভিন্নস্থানে মাটির কাজ চলছে। এছাড়াও নলুয়া হাওরের ভুরাখালি স্লুইস গেট সংলগ্ন বাঁধ , হালেয়ার পতিত বাঁধ, বৈশাখী বাঁধ, ভুরাখালি রাখালগাছ, হরিনাকান্দি বেড়িবাঁধসহ সহনলুয়া হাওরের সব ক’টি বাঁধের কাজ এখনও শতভাগ হয়নি। ফলে ফসল নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকদের দাবী বেড়িবাঁধের কাজ ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
নলুয়া হাওরপাড়ের বাসিন্দা ভুরাখালি গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছর হাওরের ফসলডুবির কারনে সারাবছর জুড়ে নানা কষ্টে জীবন যাপন করতে হয়। এবারও ২০ কেদারা জমিতে চাষাবাদ করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হাওরের বেড়িবাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় চরম উৎকষ্ঠার রয়েছি। তিনি বলেন, এবার যদি ফসলহানির ঘটনা ঘটে তাহলে হয়তো খেয়ে না খেয়ে মরতে হবে। একই গ্রামের আরেক কৃষক আকিক মিয়া জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দ্বিতীয় দফা সময়ের মধ্যেও শতভাগ কাজ শেষ না হওয়ায় শঙ্কায় আছি। এর মধ্যে নলুয়া হাওরের ফসলরক্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসনে হামহামির খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হলেও নামমাত্র কাজ করেছে ঠিকাদার। এতে করে কৃষকের কোন সুফল হবেনা।
নলুয়া হাওর বেষ্টিত চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ মিয়া জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেড়িবাঁধের কার্যাদেশ দেরি পাওয়ায় কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া হাওরে রয়েছে তীব্র মাটি কাটার শ্রমিক ও মেশিন। যে কারনে শতভাগ কাজ করা যায়নি। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাঁধগুলোতে টেকসইভাবে কাজ হচ্ছে। পিআইসিরা দিনরাত প্রকল্পে বিরামহীনভাবে কাজ করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহবায়ক সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখন পর্যন্ত কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা চরমভাবে হতাশ হয়েছি। তিনি বলেন, কৃষককের দাবী আদায়ে আমরা রাজপথে নামব। তিনি দাবী করেছেন এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ কাজ হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-প্রকৌশলী জগন্নাথপুর উপজেলা আঞ্চলিক অফিস প্রধান নাছির আহমদ জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় সার্বিক দিক ব্যবস্থায় ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। স্লুপ ও ঘাস লাগানো বাকী রয়েছে। আমরা প্রতিটি পিআইসিকে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছি।
জগন্নাথপুরের ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮৮ শতাংশ বেড়িবাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। যেসব প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি তাদেও বিরুদ্ধে মামলা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩
Design & Developed By ThemesBazar.Com