স্টাফ রিপোর্টাার: জগন্নাথপুরে পুলিশ হেফাজতে থাকা সেই নিখোঁজ শিশুমেয়েটিকে তার পরিবারের লোকজনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১২টার দিকে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ মা-বাবার নিকট তাকে হস্তান্তর করে।
তিনদিন নিখোঁজ ও দুইদিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর মা-বাবাকে দেখে আনন্দে শিশুমেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়ে তার মাকে ধরে। এসময় মা-বাবাও মেয়েটিতে পেয়ে খুশিতে চোখে পানি ধরে রাখতে পারেনি। তারাও মেয়েকে ধরে কান্না ভেঙে পড়েন। পরে এক আনন্দ পরিবেশে জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম ও এসআই সাইফুল ইসলাম, এএসআই শাহীন আহমদসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদেও উপস্থিতিতে মেয়েটিকে তার পরিবারের লোকজন দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে জগন্নাথপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে সিলেটের উদ্যেশে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী বাস পৌর এলাকার হবিবপুর মাদ্রাসা পয়েন্ট গেলে গাড়িতে উঠে সাত-আট বছরের একটি মেয়ে। ওই সময় বাসের হেলপার মেয়েটিকে কোথায় যাবে জিজ্ঞাসা করলে মেয়েটি এলোমেলো কথা বলে। এতে করে বাসের হেলপার ও চালক মেয়েটিকে নিয়ে বিপাকে পড়েন। পরে তারা ভবেরবাজার বাস কাউন্টারের ম্যানেজারের নিটক মেয়েটিকে হস্তান্তর করে। সেখান থেকে মেয়েটিকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। ওই শিশুটি পুলিশকে জানায়, তার নাম কুলসুম বেগম। বাবার নাম দুলাল মিয়া। তাদের বাড়ী ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার ভৌলা গ্রামে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঢাকার শনির আখড়া মাজার এলাকায় তারা বসবাস করে আসছেন। তার নানাবাড়ী ভোলা জেলার লালমোহন থানার ফুলবাগিজা গ্রামে। তবে কীভাবে মেয়েটি জগন্নাথপুর এলো তার সঠিক মেলেনি। মেয়েটির কথার সুত্র ধরে পুলিশ ব্যাপক অনুসন্ধান চালায়। অবশেষে ঢাকার কদমতলা থানা পুলিশের মাধ্যমে মেয়েটির বাবা মার সন্ধান পায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। পুলিশের তথ্যের ভিত্তিত্বে মেয়েটির মা-বাবা বুধবার রাতে এসে তাদের মেয়েটিকে সনাক্ত করা নিয়ে যান।
জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার সাইফুল আলম শিশুটির বাবার উদ্বৃতি দিয়ে জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই শিশু মেয়েটি ৩দিন পূর্বে হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজিঁ করে তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশের মাধ্যমে মেয়ের সন্ধান পেয়ে থানায় এসেন বলেন জানান। সেকেন্ড অফিসার বলেন, আমরা গত দুদিন ধরে মেয়েটির সন্ধানের জন্য ব্যাপক প্রচারনা চালায়। ভালো লাগছে মেয়েটি তার হারানো মা বাবাকে খোঁজে পেয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আইনানুগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুটিকে তার পরিবারের লোকজনের হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply