Site icon জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর

জগন্নাথপুরে এমোনিয়া গ্যাসে আক্রান্ত মাছ না খাওয়ার জন্য এলাকায় মাইকিং

স্টাফ রিপোর্টার :: জগন্নাথপুরের বিভিন্ন হাওরে ধান পচে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মরে যাচ্ছে মাছ। সোমবারও বিভিন্ন নদ নদী ও হাওরে মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠতে দেখা গেছে । এদিকে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত মাছ না খাওয়ার জন্য জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাওর এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।

উপজেলাবাসী জানান, অকালবন্যা ও অতিবৃষ্টিতে উপজেলার বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ায় পর পানির নীচে থাকা ধান পচে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাওরের মাছগুলো রোববার ভোর থেকেই মরে পানিতে ভেসে উঠছে। কৌতুহলী লোকজন এসব মাছ ধরে বাজারে এনে বিক্রি করতে থাকেন। এবার কেউ কেউ খাওয়ার জন্য নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যা”েচ্ছ। গত দুইদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাওরে মাছ মরে পচে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে উপজেলা প্রশাসন এসব মাছ না খাওয়ার জন্য উপজেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করেন।

প্রায় ১৫ দিন পূর্বে উপজেলার সব’কটি হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। এসব ফসল পচে হাওরে দূর্গন্ধে বিষক্রিয়ার আক্রান্ত হয়ে নলুয়া, মইয়ার ও পিংলারসহ ছোট বড় ১৫টি হাওরের রুই কাতলা বোয়ালসহ ছোট বড় সব ধরনের মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠে।

জগন্নাথপুর উপজেলা হাওর উন্নয়ন পরিষদের সাধারন সম্পাদক সিদ্দেকুর রহমান জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকম কে জানান, ধান পচে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে হাওরের মাছে মরে পানিতে ভেসে উঠছে। সোমবারও নলুয়ার হাওরের বিভিন্ন স্থানে মাছ মরে পানিতে ভাসতে দেখা গেছে। বিষাক্র এসব মাছ না খাওয়ার জন্য হাওরবাসীকে জানিয়েছি।

জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওয়াহিদুল আবরার জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকম কে জানান, পানিতে ধান পচে এমোনিয়া গ্যাস সৃষ্টি হওয়ায় মাছগুলো মরে পানি ভেসে উঠেছে। ওই সব মাছ আহার করলে ক্ষতি হতে পারে এমন আশংকায় আমরা সচেতনতামুলক মাইকিং করেছি। আক্রান্ত মাছগুলো খাওয়ার জন্য। এছাড়া পানি দুষনমুক্ত করতে সরকারি ভাবে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। বরাদ্দকৃত অর্থদিয়ে হাওরে চুন ও ঔষধ প্রয়োগ করছি।

Exit mobile version