Site icon জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর

জগন্নাথপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে শোকজ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের দিঘলবাগ (খ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।  আজ বুধবার ওই শিক্ষককে কারণ দশানোর নোটিশ (শোকজ) করা হয়েছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দিঘলবাগ (খ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কান্তি তালুকদার ২০১৮ সালের ২৭ জুন বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদারের পর থেকে নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ভুয়া ভাইচারের মাধ্যমে ভূতুরে বিল তৈরী করে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ  করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ে মেরামতের জন্য গত অর্থ বছরের ২০১৭-২০১৮/ স্লিপের ৪০ হাজার টাকা এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের ৫০ হাজার মোট ৯০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ে কাজ না করেই আত্মসাৎ করেছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের বিভিন্ন শ্রেণী কক্ষে ফাটল রয়েছে। উন্নয়ন বরাদ্দের টাকায় মেরামতের কোন চিহৃ দেখা পাওয়া যায়নি। অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেই বেতন বিল উত্তোলন করছেন।  তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কান্তি তালুকদার বলেন, স্লিপের অর্থের সকল হিসেব আমি আমাদের শিক্ষা অফিসে দিয়েছি। আমি কোন অনিয়ম করেনি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদকে বলেন, এবারের স্লিপের টাকা কোন অনিয়ম হয়নি। এর পূর্বে বিষয়ে আমার জানা নেই। কারণ গত পাঁচ, ছয় মাস ধরে আমি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব আছি।
সস্প্রতি জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা রাপ্রুচাই মারমা স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে গিয়ে পাননি। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষককে শোকজ করেন। সাতদিনের মধ্যে এর জবান দেওয়ার নির্দেশ রয়েছেন শোকজে। গত মঙ্গল ও বুধবার (গতকাল) এই দুইদিন বিদ্যালয়ে কোন কারণ ছাড়াই অনুপস্থিত থাকার কারণে কারণ দর্শানোর জন্য গতকাল প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কান্তি তালুকদারকে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা রাপ্রুচাই মারমা শোকজ করেছেন। জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা রাপ্রুচাই মারমা জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ে অধিকাংশ সময় অনুপস্থিত থাকেন। এসব বিষয়ে জানতে ওই শিক্ষককে কারণ দশানোর জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়কে আমি অবহিত

Exit mobile version