Site icon জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর

জগন্নাথপুরে ৯০০ চামড়া পুঁতে ফেলার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর হোসাইনিয়া হাফিজিয়া আরাবিয়া দারুল হাদিস মাদরাসা প্রাঙ্গণে ৯০০ কোরবানির পশুর চামড়া পুঁতে ফেলার ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ বুধবার জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে সৈয়দপুর-পাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব মিয়া কামালীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন  উপজেলা স্যানেটারি ইন্সিপেক্টর লতিফুল বারী ও জগন্নাথপুরের ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার নব কুমার সিংহ।
জানা যায়,  প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর চামড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে সোমবার ঈদের দিন সৈয়দপুর হোসাইনিয়া হাফিজিয়া আরাবিয়া দারুল হাদিস মাদরাসার পক্ষে থেকে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়। কোরবানিদাতারা মাদরাসার উন্নয়ন তহবিলে চামড়াগুলো দান করেন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষে চামড়া বিক্রয়ের জন্য দিনভর অপেক্ষা করেও বিক্রয় করতে পারেননি। প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ওই সব চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাদরাসার নিকটস্থ এলাকায় মাটিতে পুঁতে দেয়।
মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা সৈয়দ ফখরুল ইসলাম জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মাদ্রাসার উন্নয়নে  বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোনবানিদাতাদের নিকট থেকে কোরবানির পশুর ৯০০ চামড়া সংগ্রহ করি আমরা।
চামড়াগুলি ক্রয় করতে কেউ আসেনি। বাধ্য হয়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে চামড়াগুলো। 
তদন্ত টিমের প্রধান সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব মিয়া কামালী জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন,  আমরা তদন্ত শুরু করেছি। 
আগামীকাল  বৃহস্পতিবার আমরা রির্পোট জমা দেবো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলমের নিকট।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর সিন্ধান্ত নেয়া হবে। 
Exit mobile version