Site icon জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর

আল কায়েদার পরবর্তী টার্গেট লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবী,সাংবাদিক ও অভিনেতা

স্টাফ রিপোর্টার:: আল কায়েদার পরবর্তী টার্গেট লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবী, পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের সম্পাদক-সাংবাদিক ও অভিনেতারা।
জঙ্গি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইনটেলিজেন্সের বরাত দিয়ে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্লগার-লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশক ও জাগৃতি প্রকাশনার স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা এবং অন্যান্য প্রকাশকদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত প্রকাশক ইসলামী উগ্রপন্থিদের সমালোচনা করে লেখা বই প্রকাশ করেছিলেন। দীপন হত্যাকাণ্ডের আট মাস আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়। তাদের দুজনকেই চাপাতি দিয়ে আঘাত করা হয়। সর্বশেষ হামলার শিকার ওই দুই ব্যক্তির প্রকাশনা সংস্থা থেকে অভিজিৎ রায়ের বই বের হয়েছিল।
শনিবার আল-কায়েদার স্থানীয় শাখা (আল-কায়েদা ইন দি ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট) টুইটারে হামলার দায় স্বীকার করে কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিবৃতির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, লেখকদের চেয়েও ওই দুই প্রকাশক খারাপ। কেননা তারা ওই বই দুটি প্রচারে সাহায্য করেছেন। ধর্ম অবমাননাকারী লেখকদের ওই লেখার জন্য মোটা অংকের টাকাও দিয়েছেন তারা।
এর আগে আরও দুই বিদেশী ও শিয়া মুসলিমদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহিংসতার জন্য বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়ী করেছেন। পুলিশও দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্কিত সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জঙ্গি গোষ্ঠীর দায় স্বীকারকে ভুয়া বলে দাবি করেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েক দশক ধরে দেশীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর একটি নেটওয়ার্ক দমনে ব্যাপকভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে কয়েকটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বছর তারা পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে। এছাড়া ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এই গোষ্ঠীর সদস্যরা। এগুলোর বেশির ভাগই জনসমাগমের মধ্যে হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে বাংলাদেশে হামলা ও হুমকি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস বাংলাদেশে নিজেদের কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে বলে এক মাস আগে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তথ্য পায়।
এতে বলা হয়, সোমবার দেশীয় জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে একটি চিঠি পাঠিয়ে গণমাধ্যমে পর্দা ছাড়া নারীদের কাজ করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে তাদের নির্দেশনা না মানলে সেখানে হামলা চালানোর হুমকি দেয়া হয়। ২৪ অক্টোবর ঢাকায় শিয়া মুসলিমদের একটি সমাবেশে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে এক কিশোর নিহত হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনলাইনে প্রায়ই ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগারদের হিটলিস্ট প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে অনেক লেখক ও সাংবাদিক লেখা প্রকাশে সংশয়ে ভুগছেন। জীবনের ঝুঁকি বাড়ায় অ্যাক্টিভিস্টদের পশ্চিমা দেশগুলোতে আশ্রয়ের আবেদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Exit mobile version