বিশেষ প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ঘনিয়ে আসার শেষ বেলায় জগন্নাথপুর উপজেলায় কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে।
গতকাল বুধবার (৪ জুন) উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর পৌর শহরের হেলিপ্যাড এলাকায় এবারের ঈদের শেষ হাট বসে। হাটে কানায় কানায় ছিল কোরবানির পশু। এদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাটের নির্ধারিত এলাকা ছেড়ে শহরের প্রধান সড়ক জগন্নাথপুর—ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের দুইপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দিনভর মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েন জনসাধারণ।
জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী ফয়জুর রহমান জানান, মহাসড়কের ব্যস্ত সড়কে পশুর হাট বসিয়ে পৌর কতৃর্পক্ষ নাগরিক দুর্ভোগ তৈরি করেছেন। সামান্য রাজস্ব আদায়ের জন্য এমন দুর্ভোগ কাম্য নয়। তিনি আগামীতে মহাসড়কে পশুর হাট না বসিয়ে অন্যত্র বসানোর দাবি জানান।
সরজমিনে হাট ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় হেলিপ্যাড থেকে শুরু হয়ে জগন্নাথপুর—রানীগঞ্জ—ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের ছিলিমপুর এস্টেট থেকে শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে মোড় পর্যন্ত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে পশুর হাট। এবার বাজারে দেশি গরুর একক প্রভাব দেখা গেছে। খামারিদের পশু আর কৃষকের গোয়ালঘরের গরুই বেশি।
ক্রেতারা বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এবার হাটে দাম বেশি। অবশ্য বিক্রেতারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, ন্যায্য দামেও বেচাবিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের প্রচণ্ড চাপ থাকলেও ক্রয়—বিক্রয় কম হচ্ছে এবার।
হাটে আসা অলিদ মিয়া নামের এক ক্রেতা জানালেন, গত বছরের চেয়ে এবার দর একটু বেশি। এখনও গরু কেনা হয় নি, দামদর যাছাই বাছাই করছি।
মুজিবুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা জানান, অন্য বছরের তুলনায় দাম একটু বেশিই মনে হচ্ছে। মাঝারি সাইজের একটি গরু কিনেছি ৯০ হাজার টাকায়। তবে এবার আসিল ফি নিয়ে ঝামেলা নেই। আসিলের নির্ধারিত টাকা নেওয়া হচ্ছে।
পৌর এলাকার কেশবপুরের কৃষক করাছ মিয়া বলেন, ৪টি গরু নিয়ে সকালে হাটে এসেছি, এখনও বিক্রি হয়নি একটিও। চাহিদা অনুয়ারি দাম মিলছে না।
হাটের ইজারাদার জুবায়ের আহমদ ভূঁইয়া বলেন, শেষ মুহুর্তে হাট জমে উঠেছে। সরকার নির্ধারিত আসিল ফি নেওয়া হচ্ছে। গতকাল কোরবানির শেষ হাট হওয়ায় হাটের নির্ধারিত স্থানপূর্ণ হয়ে মহাসড়কে ছড়িয়েছে। জনদুভোর্গ কমাতে আমাদের নিজের লোকজন সড়ক শৃঙ্খলায় কাজ করছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার্ বরকত উল্লাহ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার জগন্নাথপুরে পশুর হাটের সংখ্যা কমেছে। এবছর দুই টি স্থায়ী ও একটি মাত্র অস্থায়ী হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। অন্যবছর ছিল মোট ৯টি। তিনি বলেন, মহাসড়কে কেউ হাট বসালে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।