Site icon জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর

বৃষ্টি উপেক্ষা করে জগন্নাথপুরের সর্বজন শ্রদ্ধীয় ‘মাস্টার সাব’র জানাজায় মানুষের ঢল

স্টাফ রির্পোটার ::
বৃষ্টি উপেক্ষা করে জগন্নাথপুরের শ্রদ্ধীয় ব্যক্তিত্ব শতবর্ষী রহিছ উদ্দিন ‘মাস্টার সাব, নামাজে জানাজায় মানুষের ঢল নামে।

শুক্রবার বেলা দুইটায় জগন্নাথপুর পৌরশহরের ইকড়ইছ হাফিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ঈদগাহ মাঠে পৌরএলাকার ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জামে মসজিদের সাবেক মোতোয়াল্লী জগন্নাথপুর পৌরশহরের ৬ নং ওর্য়াডের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার বাসিন্দা সর্বজন শ্রদ্ধীয় ব্যক্তিত্ব রহিছ উদ্দিন মাস্টার সাব’র প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সামাজিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ সর্বশ্রেনীর সহ¯্রাধিক জনসাধারণ অংশ নেন। এর পূর্বে সাবেক পৌর কাউন্সিলর আবু সুফিয়ান ঝুনুর পরিচালনায় প্রবীন শিক্ষক,সালিশী ব্যক্তিত্ব শিক্ষানুরাধী মরহুমের ‘কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে, বক্তব্যে রাখেন জগন্নাথপুরের প্রবীন ব্যক্তিত্বে শিক্ষানুরাধীন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন, জেলা বিএনপির নেতা এডভোকেট সৈয়দ মল্লিক মঈন উদ্দিন সুহেল, উপজেলা আওয়ালীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, মরহুমের মেজো ছেলে সুফি মিয়া, এডভোকেট জিয়াউর রহিম শাহিন, সাবেক কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন।

বক্তারা বলেন, প্রবীন শিক্ষক রহিছ উদ্দিন জগন্নাথপুরের শিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক শিক্ষাসহ আত্মসামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন। তিনি শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি সালিশী বিচারে একজন ন্যায় বিচারক ছিলেন। বক্তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাফফেরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
পরে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা বিকেল ৩টায় তাঁর নিজ গ্রামের বাড়ি হিজলা গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।

প্রসঙ্গত, বুহস্পতিবার রাত ৮টায় সিলেটের একটি বেসরকারী হাসপাতালে মাস্টার রহিছ উদ্দিন ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্যা আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি লন্ডন প্রবাসী জাপা নেতা সাবেক কৃতি ফুটবলার জুবায়ের আহমদ হামজার বাবা।

মরহুমের গ্রামের বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের হিজলা গ্রামে। তিনি অনেক বছর ধরে জগন্নাথপুর পৌরশহরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।

Exit mobile version