Site icon জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর

রানীগঞ্জে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার বিরোধ কে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা

স্টাফ রির্পোটার :: জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার বিরোধ কে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুর্হুতে ঘটতে পারে অনাকাংখিত ঘটনা।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি বাগময়না গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী হাজী সুন্দর আলী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি গর্ন্ধবপুর গ্রামের বাসিন্দা আজমল হোসেন মিঠুর মধ্যে দীঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গতকাল রোববার রানীগঞ্জ বাজারে একটি ফলের দোকান বসানো ও উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তেজনা, সংঘর্ষ, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে । সংঘর্ষে ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও একটি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা জানান- আহমদ আলী নামে এক ব্যবসায়ী রাণীগঞ্জ বাজারে ফলের ব্যবসা করে আসছেন। সম্প্রতি কৃষি ব্যাংকের নীচে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আজমল হোসেন মিটুর মিটুন টাচ নামের দোকানের সামনে ওই ব্যবসায়ীর ফলের দোকান বসানো হলে কৃষি ব্যাংকে যাতায়াতকারী গ্রাহক ও মসজিদে যাতায়াতকারী লোকদের সমস্যার সৃষ্টির অভিযোগ এনে আজমল হোসেন মিঠু ওই দোকান উচ্ছেদের প্রচেষ্ঠা চালান। আর এতে বাধা দেন আওয়ামীলীগ সভাপতি সুন্দর আলী। রবিবার দোকান উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ রানীগঞ্জ বাজারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্ঠা করে।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আজমল হোসেন মিটু জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকম কে জানান, সুন্দর আলী ও আবুল কাশের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমার মালিকানাধীন মিটুন টাচ নামের কাপড়ের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করা হযেছে। বিষয়টি লিখিতভাবে আমি জগন্নাথপুর থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। মিটু আরো জানান,কৃষি ব্যাংকের নীচে তার দোকানের সামনে ফলের দোকান বসানো হলে ব্যংকে ও মসজিদে যাতায়াতকারীদের সমস্যার সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারের রাণীগঞ্জ ইউপি আ.লীগের সভাপতি সুন্দর আলী বলেন- মিটু অন্যায়ভাবে জোরপূবক দরিদ্র ফল বিক্রেতাকে উচ্ছেদ করতে চায়।এবং টাকার জোরে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করতে তৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু জনসাধারন তার এসব কাজ মেনে নিতে পারছেনা। তাই সে সবময় ঝগড়া সৃষ্টি করে এলাকাবাসীকে বিভ্রান্তী করার পরিকল্পনা করে আসছে। ইতোমধ্যে সে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে দু’গ্রামের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটিয়ে ছিল। তাই আবার সে অপ্রয়োজনীয় ভাবে মসজিদের যাতাযাতের সমস্যা হচ্ছে বলে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দ্বন্ধ সৃষ্টি করে। সে তার দোকান নিজেই লুটপাট করে মামলা করার চেষ্টা করছে বলেও শুনেছি।

জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরসালিন জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান,পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে উত্তেজনা প্রশমিত করেছে। তিনি বলেন, অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ নিবে।

Exit mobile version