Site icon জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর

সিলেটের ৩ ইউএনও’র সরকারি মোবাইল নম্বর ‘ক্লোন’, থানায় জিডি দায়ের

জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক :: একই দিন সিলেট জেলার তিন উপজেলা নির্বাহি অফিসারের (ইউএনও) মোবাইল নম্বর ক্লোন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। মোবাইল নাম্বার ক্লোন হওয়া ইউএনওরা হলেন বিয়ানীবাজারের মু. আসাদুজ্জামান, ওসমানীনগরের মো. মনিরুজ্জামান এবং বিশ্বনাথের অমিতাভ পরাগ তালুকদার।

এবিষয়ে থানা পুলিশকে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করেছেন তারা। পুলিশ এনিয়ে তদন্ত করছে বলেও জানা গেছে। রোববার (১৬ জুলাই) এ মোবাইল নম্বর ক্লোন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে চাঁদা দাবির ঘটনাগুলো ঘটে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, রোববার সকাল আমি ডিসি স্যারের অফিসে মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এই সময় আমার সরকারি মোবাইল নম্বর থেকে আমার উপজেলার বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকে ২ হাজার টাকা করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর কথা বলে প্রতারক চক্র। বিষয়টি চেয়ারম্যানদের সন্দেহ হলে তারা আমার ব্যক্তিগত নাম্বারে যোগাযোগ করলে বিষয়টি ধরা পড়ে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি নম্বরটি ক্লোন করা হয়েছে টের পেয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলার সকল সরকারি, বেসরকারি দপ্তর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়ে অবহিত করি। এ বিষয়টি বিয়ানীবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছি।

ওসমানীনগরের ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রোববার দুপুরে তার সরকারি মোবাইল নাম্বার ক্লোনের বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ব্যাপারে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে ওসমানীনগরবাসীকে তার ক্লোন হওয়া মোবাইল নম্বর থেকে টাকাপয়সা চাইলে না দিতে অনুরোধ জানিয়ে সতর্ক করে বলেন, রোববার দুপুরে তার মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে উপজেলার উছমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মঈনুল ফারুকের কাছে টিআর-কাবিখা বরাদ্দের জন্য বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলে। এ সময় চেয়ারম্যান ফারুক কলদাতাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে ফোনের লাইন কেটে দেয়। বিষয়টি চেয়ারম্যান তাকে জানালে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ওসমানীনগর থানার জিডি করেছেন এ ইউএনও

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সহিদ উল্যা ইউএনও’র অভিযোগ মৌখিকভাবে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

একই ঘটনা ঘটেছে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ক্ষেত্রেও। তার সরকারি মোবাইল নাম্বার ক্লোন করে প্রতারক চক্র নিজেদের ইউএনও পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করে। এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানায় জিডি করেছেন ইউএনও অমিতাভ পরাগ তালুকদার।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার জানিয়েছেন, বিয়ানীবাজারের ইউএনও তার সরকারি মোবাইল নাম্বার ক্লোন হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। যদি এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকে তবে তা উদ্বেগজনক বলেও উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক।

Exit mobile version