Site icon জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর

সুনামগঞ্জে বিআরটিসি’র বাসের জানালার কাঁচ ভেঙে দিলো পরিবহন মালিক সমিতির গাড়ি চালক

সুনামগঞ্জে বিআরটিসি বাসের জানালার কাঁচ ভেঙে দেবার অভিযোগ ওঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বিআরটিসি’র এসি বাস যাত্রী নিয়ে আসার পথে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটগামী বাস বিআরটিসির বাসটিকে আঘাত করলে জানালার কাঁচ ভেঙ্গে যায়। এসময় যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে পরিবহন শ্রমিকরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
উল্লেখ্য সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে সম্প্রতি বিআরটিসি বাস চালুর প্রতিবাদে গত ৩ জুন একদফা পরিবহন ধর্মঘট পালন করেছিল পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদ। একই দাবিতে গত ২৪ জুন দ্বিতীয় দফা সিলেট বিভাগ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিলে সিলেট বিভাগজুড়ে যাত্রীরা আন্দোলনে নামেন। বিআরটিসি বাস চালুর দাবিতে সিলেট-সুনামগঞ্জে গণঅনাস্থা কর্মসূচি, স্মারকলিপি, মানববন্ধন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ যাত্রীরা। গত ২১ জুন রাতে প্রশাসনের জরুরি বৈঠকে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করে মালিক-শ্রমিকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট থেকে সুনামগঞ্জে যাত্রী নিয়ে আসছিল বিআরটিসির এসি বাস। এসময় সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সুনামগঞ্জ বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি জহিরুল ইসলামের মালিকানাধীন একটি বাস বিআরটিসি’র বাসের জানালায় আঘাত করে। ড্রাইভার আরিফ মিয়া ছিলেন জহিরুল ইসলামের গাড়ি’র চালক। চালক আরিফ মিয়া চালিত গাড়ির ধাক্কায় বিআরটিসি বাসের জানালা ভেঙে যায়। এ সময় বিআরটিসি বাসের যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চালক আরিফ মিয়া ও হেল্পার।
ওই গাড়ির যাত্রী হেলেনা বেগম বলেন, হঠাৎ করে একটি গাড়ি সামনের দিক থেকে এসে পিছনের দিকে আঘাত করে। আমরা ভয় পেয়ে যাই। গাড়ির জানালাও ভেঙে পড়ে। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে ওই গাড়ির ড্রাইভার ও হেল্পার অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে।
বিআরটিসির সুনামগঞ্জ কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মো. আমজাদ হোসেন বলেন, গাড়ির ড্রাইভার ইচ্ছে করেই আমাদের গাড়িকে আঘাত করেছে। এতে আমাদের নতুন এসি গাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। গাড়ির যাত্রীরাও এ ঘটনায় আতঙ্কিত ছিলেন। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সুনামগঞ্জ বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আরিফ নামের আমার এক ড্রাইভার আছে। তবে সে বিআরটিসি বাসের জানালা ভেঙেছে কি না তা তার জানা নেই বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, সরকারি মালিকানাধীন গাড়িকে সরকারি রাস্তায় চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করা অনৈতিক। বিআরটিসির সংশ্লিষ্টরা আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাদেরকে আইনিভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

সুত্র-দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর

Exit mobile version