সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পল্লীতে ভাতিজাদের হাতে মারধরের ঘটনায় আহত চাচার মৃত্যু হয়েছে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এঘটনায় কোন মামলা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের মশাজান গ্রামের করিম বক্সের ছেলে কয়েছ মিয়া (৩০) দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিল চুরিসহ সামাজিক নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন । মাদকাসক্ত এই যুবকের অত্যাচারে তাঁর স্বজনরা অতিষ্ঠ। গত ৩ ফেব্রæয়ারি মাদক সেবী কয়েছ মিয়াকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোড়ে তাঁর চাচাত্বের ছেলে আজহার, ময়নুল, মুজাহিদগংরা মারধর করেন। এতে সে আহত হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এক পযার্য়ে গত ৫ ফেব্রæয়ারি আহত যুবকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে গত বৃহস্পতিবার ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুখছিল মিয়া জানান, মাদকাসক্ত যুবকের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ ছিলেন তাঁর স্বজনরা। চুরির ঘটনায় স্বজনরা তাকে মারধর করেছিলেন বলে শুনেছি।
ঘটনাস্থল পরির্দশনকারী জগন্নাথপুর থানার উপ পরির্দশক (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান, তদন্তের প্রয়োজনে এই মূর্হুতে কিছুই বলতে পারছিনা। তবে স্বজনরা তাকে মেরেছে।
সহকারি পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) মাহমুদুল হাসান চৌধুরী জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় যুবককে তাঁর ভাতিজারা মারধর করেছিলেন। এতে তিনি আহতরাবস্থায় মারা যান। এঘটনায় একটি হত্যার মামলার প্রস্তুুতি চলছে। তিনি জানান, নিহতের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর মনমালিন্য চলছে। স্ত্রী এক মাত্র ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে তাঁর বাবার বাড়িতে থাকেন।
Leave a Reply