স্টাফ রিপোর্টার :: জগন্নাথপুরে অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ চোরদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ১২ আহত আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ৩জনকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ২টি পাইপগান করেছে উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গর্ন্ধবপুর গ্রামের কৃষক লাল মিয়ার বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে একদল অস্ত্রধারী ১০টি গরু চুরি করে নৌকায় তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে বাধে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হন। গুলিবিদ্ধরা হলেন সোনা উল্লার ছেলে আবদুর রউফ (৪৫), ও সাহেব আলী (২৪) ও মৃত ইদ্রিছ উল্লার ছেলে আবদুল হেকিম (৩৫)। তাদেরকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত কৃষক লাল মিয়া (৬০), তার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৯), ছেলে নাহিম আহমদ (২২), লিপাছ উদ্দিন (২১), মেয়ে সেলিনা বেগম (৯), মনি বেগম (১৪), জমশেদ উল্লার মেয়ে শাহেদা বেগম (৪৫), রোয়াল আলীর ছেলে সায়েদ আলী (২৮), ওয়াহিদ উল্লার ছেলে নাসির উদ্দিন (৩০), ও বাচ্ছু মিয়া (২৫)। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তবে কৃষক পরিবারের লোকজন ও এলাকবাসী দাবী করেছেন ডাকাতদল বসতঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পরিবারের লোকজনকে বে^ধে ঘরে থাকা স্বর্নালংকার, ৫টি গরুসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।
জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক রুবেল আহমদ জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গুলিবিদ্ধ ৩জনকে সিলেট ওসমানি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঘটনাস্থল পরির্দশকারী জগন্নাথপুর থানার এসআই হাবিবুর রহমান জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কৃষক লাল মিয়ার বাড়ি থেকে ১০টি গরু রাত ১.৪৫ মিনিটের সময় সংঘবদ্ধ চোরের দল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে সংর্ঘষ সৃষ্টি হয়েছে। ১০টি গরুর মধ্যে ৫টি গরু এলাকাবাসী উদ্ধার করেছে। সকালে ঘটনাস্থল থেকে পাইপগানের মতো একটি অস্ত্র উদ্ধার করেছি।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন,গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীর সাথে ঘংঘবদ্ধ চোরচক্রের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষর ঘটনা ঘটে। পুলিশ ৫টি গরু উদ্ধার ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে। চোর চক্রকে গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে।
Leave a Reply