জগন্নাথপুর২৪ ডেস্ক::
শান্তিগঞ্জের হাসনাবাজ গ্রামে এখন কেবল আহাজারী আর আতঙ্ক। পুরুষ শূণ্য গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার রাত ১০ টায় আরও একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম মখলিছুর রহমান (৬০), তিনি মালদার আলীর পক্ষের এবং গ্রামের আজির মাহমুদের ছেলে। মঙ্গলবার বিকাল চারটায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে গ্রামের গুরস্তানে আশপাশের গ্রামের কয়েকজন তার দাফন সম্পন্ন করেন। এর আগে সোমবার রাত ১১ টায় সংঘর্ষের ঘটনায় ওইদিনে নিহত তিজনের দাফন একইভাবে আশপাশের গ্রামের লোকজন সম্পন্ন করেন।
মখলিছুর রহমানের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শাহেদা বেগম জানালেন, দেবর ভাসুর মিলে তারা এক বাড়িতেই থাকেন। সোমবার সকালে গ্রামের উত্তর মাথায় সংঘর্ষের ঘটনার পর দক্ষিণ মাথায় এসে বাড়ী-ঘরে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের কয়েকজন। এসময় তার ভাসুর দুই হাতে দুটি লাটি নিয়ে বাড়ীর উঠোনে বের হন। তাকে এখানে এসেই প্রতিপক্ষের লোকজন ঘাড়ে ও মাথায় আঘাত করে। তার মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল। গ্রামে পুলিশ আসার খবর শুনে ওরনা দিয়ে মাথা বেঁধে পাশের গ্রাম জামলাবাজে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। ওখানেই রাতে মারা যান তিনি। রাত ১০ টার দিকে তার লাশ বাড়ীতে নিয়ে আসেন স্ত্রী। সকালে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে লাশের ময়না তদন্ত করায় পুলিশ। এখন (বিকালে) আশপাশের গ্রামের কয়েকজন তার লাশ গ্রামের গোরস্তানে দাফন করেছেন।
মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই গোষ্ঠীর লোকজনের সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার নিহত তিন জনের দুই জন ছিল দ্বীন ইসলামের এবং মঙ্গলবার নিহত মখলিছুর রহমান মালদার আলীর পক্ষের।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী জানান, মখলিছুর রহমানের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরবেশি কিছু আপাতত জানানো যাবে না। এ ঘটনায় এখনো (মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টা) কোন মামলা হয় নি।