1. forarup@gmail.com : jagannthpur25 :
  2. jpur24@gmail.com : Jagannathpur 24 : Jagannathpur 24
জগন্নাথপুরে শঙ্কা বাড়ছেই কৃষকদের - জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন

জগন্নাথপুরে শঙ্কা বাড়ছেই কৃষকদের

  • Update Time : রবিবার, ১২ মার্চ, ২০১৭
  • ১৭৩ Time View

স্টাফ রিপোর্টার : জগন্নাথপুরে হাওরে ফসল নিয়ে দুঃশ্চিতা যেন কাটছেই না কৃষকদের। দিন দিন শঙ্কা বাড়ছেই। হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। এদিকে গত দুই দিন যাবত জগন্নাথপুরে ঝড় বৃষ্টি হওয়ার কারনে হাওরপাড়ের কৃষকদের মধ্য ফসল নিয়ে অস্থিরতা বেড়ে গেছে।

সরজমিন নলুয়ার হাওর ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়া হাওরসহ ১৫টি হাওরের বেড়িবাঁধের কাজ গতকাল রোববার পর্যন্ত শেষ হয়নি। মাটি পড়েনি নলুয়ার হাওরের শালিকা, হালেয়ার পতিত, রাজনগরের পতিত, ডুমাখালি বাঁধের পূর্বের মংলা বাড়ির সামনের ভাঙন ও ভুরাখালি রাখাল গাছের নিকটবর্তী স্থানসহ হাওরের বিভিন্ন বাঁধে।

হাওরপাড়ের ভূরাখালি গ্রামের কৃষক আবদুস সালাম জানান, গত বছর শিলা বৃষ্টিতে জমিনের সব ফসল বিনষ্ট হওয়ায় গোলায় ধান তুলতে পারি নি। এবছর অনেক কষ্ট করে আত্মীয় স্বজনদের নিকট থেকে ধার এনে ২০ কেদারা জমিনে আবাদ করেছি। কিন্তু ফসল নিয়ে খুবই শঙ্কায় পড়েছি। এখনও হাওরের বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। এর মধ্যে আবার গত দুই তিন ধরে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। কখন কী হয়, এ নিয়ে দুঃশ্চিতায় আছি।

হাওরপাড়ের কৃষক নেতা সিদ্দিকুর রহমান জানান, নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও হাওরের বাঁধের সংস্কার কাজ শেষ হয়নি। মাত্র ৩০ ভাগ কাজ শেষ হচ্ছে। এখনও ৭০ ভাগ কাজ বাকী রয়েছে। বাঁধ নির্মানে সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও এই বরাদ্দের অর্থ এক শ্রেনী অসাধু ব্যক্তিরা লুটপাটে ব্যস্ত। তিনি বলেন, অবিলম্বে হাওরের বাঁধের কাজ শেষ না হলেও কৃষকদের অধিকার আদায়ে আমরা আন্দোলনে নামব।

স্থানীয কৃষি অফিস ও কৃষকরা জানান, এ বছর এ উপজেলার নলুয়ার, মইয়া, পিংলাসহ ছোট বড় ১৫টি হাওরে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিনে বোরো ফসলের চাষাবাদ করা হয়েছে। বছরের ১ লা জানুয়ারী হইতে ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে হাওরের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পযর্ন্ত হাওরের কাজ শেষ হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জ সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জগন্নাথপুর উপজেলার ৩৩টি পিআইসির (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) অনুকুলে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে দুই জন ঠিকাদারের মাধ্যমে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর অঞ্চলের মাঠ কর্মকর্তা (এসও) মোসোদ্দেক আহমদ জানান, এবার বরাদ্দ অপ্রতুল থাকায় কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩
Design & Developed By ThemesBazar.Com