জগন্নাথপুর উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও এলজিইডির নির্মাণাধীন সড়কের কাজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে বুধবার দুনীতি দমন কমিশন দুদকের একটি টিম এলজিইডির কার্যালয় ও ওই সড়কে অভিযান চালিয়েছে।
এলাকাবাসী, দুদক ও এলজিইডি কার্যালয় দায়িত্বশীলরা জানান, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রৌয়াইল বাজার- রৌয়াইল ভায়া টেংরাখালি এক কিলোমিটার সড়কের আরসিসি কাজ পায় মেসার্স সালেহ চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এক কোটি ৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দে এক বছর মেয়াদি ওই প্রকল্পের সেপ্টেম্বর মাসে কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করা হয়। ওই সড়কের কাজে নদীর তীর কেটে বালু উত্তোলন এবং অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করা হয় দুদক কার্যালয়ে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেট দুদকের সহকারি পরিচালক আশরাফ উদ্দিন নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সিলেট দুদকের উপ-সহকারি পরিচালক নিঝুম রায় প্রান্ত ও কোর্ট পরিদর্শক জাহিদুল ইসলামসহ দুদক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তাঁরা এলজিইডি কার্যালয় থেকে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রৌয়াইল বাজার-বোয়াইলা ভায়া টেংরাখালি এক কিলোমিটার সড়কের চলমান কাজের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডির সঙ্গে কথা বলেন। পরে তাকে নিয়ে সড়ক পরিদর্শন করেন।
ঠিকাদার সালেহ চৌধুরী জানান, সড়কের কাজে কোন অনিয়ম মিলে নি। আমাকে বালু ক্রয়ের রশিদ দেখাতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেট দুদক কার্যালয়ে গিয়ে বালু ক্রয়ের কাগজ জমা দেবো।
জগন্নাথপুর এলজিইডির প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, দুদকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সড়কের কাজ পরিদর্শনকালে গিয়েছিলাম। প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ চলার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে তাদের সহযোগিতা করেছি।
দুদকের সহকারি পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, সরেজমিন পরিদর্শণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বিষয়ে টেকনিক্যাল পার্সনদের মতামত নিতে হবে। এর আগে কিছুই বলা যাবে না। আমরা সেভাবেই দুদকের উর্ধ্বতনদের জানিয়েছি।