বিশেষ প্রতিনিধি –
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থীর মধ্যে চারজন ব্যবসায়ী ও একজন সাংবাদিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন স্বশিক্ষিত ও চারজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি থেকে এমএ পর্যন্ত। একজনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে নারী নির্যাতনসহ তিনটি। প্রার্থীদের হলফনামা পর্যালোচনায় এমন তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকালে দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনায় দেখা গেছে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকমল হোসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পেশা ব্যবসা। আয়ের উৎস কৃষি খাত ও অন্যান্য আয়ের পরিমান ৩ লাখ ৬০ হাজার,নগদ টাকা ৯ লাখ ৮০ হাজার,জমা ২০ হাজার টাকা।
বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পেশা ব্যবসা,অন্যান্য আয়ের পরিমান ছয় লাখ টাকা, নগদ ৩০ হাজার টাকা দুটি ফিকসডিপজিটসহ ২১লাখ ৭৪ হাজার ৪০২ টাকা ও একটি জিপ গাড়ি ৪৫ হাজার টাকা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক মুক্তাদীর আহমেদ মুক্তা শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএ, পেশা সাংবাদিক, আয়ের উৎস কৃষি খাত ও পেশা,আয়ের পরিমান চারলাখ ২২ হাজার,নগদ ৪০ হাজার জমা দুই লাখ স্ত্রীর ৫ লাখ টাকা।
জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএ, পেশা খামার ব্যবসা,আয়ের উৎস কৃষি খাত ও খামার,আয়ের পরিমান ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা,নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ জমা ২ কোটি টাকা, গাড়ি ২৪ লাখ টাকা,স্ত্রীর স্বর্ণালংকার ২০ ভরি, সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি নারী নির্যাতন মামলা,ও সাইব্রার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সিলেট শাহপরান থানায় দায়েরকৃত একটি জিআর মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। ওই প্রার্থীর দুটি ব্যাংকে লোন রয়েছে ৫২ লাখ ৯১ হাজার ৫৯১ টাকা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস চৌধুরী লিটন শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বশিক্ষিত, পেশা গাড়ি ব্যবসা, আয়ের পরিমান ৩ লাখ ৪২ হাজার জমাকৃত ৩ লাখ ৮৪৩ গাড়ি ২৬ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে।
সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা জগন্নাথপুর টুয়েন্টি ফোর ডটকম কে বলেন, প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্য সঠিক না হলে অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রার্থীতা বাতিল হতে পারে। জগন্নাথপুরের চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য বিষয়ে বাছাইকালে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি।