দিরাই প্রতিনিধি::
দিরাইয়ে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে দু’পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধসহ ২৩ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামে নুনু মিয়া ও হুমায়ূন আজাদের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ ও বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, রাড়ইল গ্রামের নুনু মিয়া ও হুমায়ূন আজাদের লোকজনের মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ববিরোধ রয়েছে। এর আগে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে, দুই গ্রুপের মধ্যে মামলা মোকদ্দমাও চলছে। দ্বন্দ্ব নিরসনে এলাকার সালিশিব্যক্তি ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী স্থানীয় সালিসিদের নিয়ে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করেন, কিন্তু কাজ হয়নি।
সালিশ ব্যক্তি কুলঞ্জ ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আগের দিন থেকেই সুর ছিল মঙ্গলবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হতে পারে। আমরা এলাকার সালিশরা সকাল থেকে রাড়ইল গ্রামের দু’পক্ষের লোকদের সাথে কথা বলি, এরই মধ্যে সকাল এগারোটায় দুই গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে দুই গ্রুপই বন্দুক দিয়ে গোলাগুলি করেছে।
দিরাই উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষ ও বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ নানু মিয়া (৩৭), গৌছ মিয়া (৭০), তাজিম আহমেদ (২১), তানিছ (২২), রাবেল (২৫), অলিউর রহমান (৩০), সালিশ ব্যক্তি আব্দুল নূর (৫২), রাজিব মিয়া (২৫), সুজন মিয়া (৩২), মাহিদ মিয়া (১৯), ফরসাদ মিয়া (২২), তানভীর (২২), মনি মিয়া (৪০), রবিউল (২৫), মনসাদ (২৮), আবুল কালাম (৬৫), অমিত হাসান (১৬), নুনু মিয়া (৬৪), আহত বদরুল (২৭), হুমায়ুন আজাদ (৬০), মহিবুল (২২), রেজা (১৭), সাজ্জুল (৪২) কে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক হাবিব উল্লাহ সরকার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ও আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মুক্তাদির হোসেন সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে। আমি এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি, পরিবেশ শান্ত রয়েছে, গোলাগুলির বিষয়টি আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।