জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডেস্ক:: সংসদ সদস্যরা রাজধানীতে প্লট ও অ্যাপার্টমেন্ট দুটোই পাবেন বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। দশম জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে পূর্বাচল নতুন শহরের কাজ শেষ হবে। অধিক লোকের আবাসন সুবিধার জন্য পূর্বাচলে অংশীদারের ভিত্তিতে ৬২ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করছি। এছাড়া ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে ইতোমধ্যে ১১ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করেছি। এই প্রকল্পও ২০১৭ সালে শেষ হবে। উত্তরা আদর্শ প্রকল্পও ২০১৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১৫ হাজার ৩৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যে ৬ হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মাত্র ৫০০-৬০০ ফ্ল্যাট অবিক্রিত রয়েছে।
সংসদ সদস্যদের জন্য স্বল্পমূল্য ও বিশেষ সুবিধায় অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিলে উপস্থিত সদস্যরা তার এ প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানান। পরে মন্ত্রী ঘোষণা দেন, অন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের প্লট দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জি টু জি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৮ হাজার ৪৫১ অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করছে। এসব অ্যাপার্টমেন্টে ৪ বছরে অর্ধেক টাকা দিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট গ্রহণ করা যাবে। আর বাকি অর্ধেক ১৬ বছরে ৯ শতাংশ সার্ভিস চার্জ হারে পরিশোধ করতে পারবেন।
‘সংসদ সদস্যরা আমার কাছে জমি চাচ্ছেন, আমি মনে করি জমি না নিয়ে এই সুযোগ গ্রহণ করুন, অ্যাপার্টমেন্ট নেন।’ মন্ত্রীর এ প্রস্তাবে ‘নো নো’ বলে প্রতিবাদ করেন উপস্থিত সদসরা। এ সময় অবাক হয়ে কিছুক্ষণের জন্য কথা বলা বন্ধ রাখেন মন্ত্রী। পরে ডেপুটি স্পিকারের হস্তক্ষেপে আবারো বক্তৃতা শুরু করেন।
মন্ত্রী বলেন, অ্যাপার্টমেন্ট নেওয়ার পরেও আমি নতুন প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। এ নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এখানে প্রায় ২ হাজার ২০০ একর জমির উপর নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। অ্যাপার্টমেন্ট নেওয়ার পরও সেখানেও আপনাদের প্লট দেওয়া হবে।
Leave a Reply