1. forarup@gmail.com : jagannthpur25 :
  2. jpur24@gmail.com : Jagannathpur 24 : Jagannathpur 24
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের পূনাঙ্গ কমিটিতে কোন পক্ষই খুশি নন - জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
গুচ্ছ ভর্তি: তিন ইউনিটে শাবি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে ৯ হাজার ভর্তিচ্ছুক ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের জেরে স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করল সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় রাগ সংবরণে নবীজির পরামর্শ মানবিক সাংবাদিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শংকর রায় জগন্নাথপুরে ধান কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায়ের মৃতু্তে বিএনপির শোক প্রকাশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়বে কিনা, জানা যাবে শনিবার মসজিদের মালিকানা মহান আল্লাহর জগন্নাথপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় শংকর রায়ের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব শংকর রায়ের মৃত্যুতে এমএ মান্নান এমপিসহ বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ

জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের পূনাঙ্গ কমিটিতে কোন পক্ষই খুশি নন

  • Update Time : শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
  • ৬৯৬ Time View

** পদ পেয়েছেন নিস্কিয়,বির্তকিত ও নৌকার বিরোধীতাকারীরা- বঞ্চিত প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা**

স্টাফ রিপোর্টার- সন্মেলনের দুই বছর পর জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটি অনুমোদন হলেও কমিটিতে খুশি হননি কোন পক্ষই। কমিটি ঘোষনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে হয়নি কোন আনন্দ মিছিল। এমনকি কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেক নেতাদের দলীয় কার্যালয়ে চোখ দেখেনি কর্মীরা। অনুমোদিত কমিটির দায়িত্বশীলদের মধ্যে নেই কোন উচ্ছ্বাস। উল্টো কমিটি বাতিলের দাবীতে এক পক্ষ কেন্দ্রের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে। পূনাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের দুদিন পর স্থানীয় সংসদ সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানকে কটুক্তি করে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মতিউর রহমান বক্তব্য রাখলে এনিয়ে সর্বত্র নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় উঠলেও জগন্নাথপুরের আওয়ামীলীগ রয়েছেন নীরব।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর দীর্ঘ ১০ বছর পর উপজেলা আওয়ামীলীগের সন্মেলন অনুষ্ঠিত হলে পৌরসভাসহ সবকটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমদের নের্তৃত্বে কমিটি দিতে তাদের মতামত প্রদান করেন। এসময় জেলা নের্তৃবৃন্দ পরে কমিটি দেয়া হবে বলে চলে যান। দীর্ঘ এক বছর পর জেলা সন্মেলনের একদিন আগে তাড়াহুড়া করে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমদের অনুসারী হিসেবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আকমল হোসেন ও রেজাউল করিম রিজুর নাম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষনা করা হয়। এনিয়ে আজিজুস সামাদ ডন অনুসারী আওয়ামীলীগের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জেলা সন্মেলন স্থগিত হয়ে গেলে জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের পূনাঙ্গ কমিটি গঠন আটকে যায়। এবস্থায় রাজনীতিতে নিজের অবস্থান শক্ত করতে কলকাঠি নাড়তে শুরু করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আবুল কাশেম। তিনি সন্মেলনের সময় জগন্নাথপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল মনাফকে সভাপতি ও সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে প্যানেল জমা দেন। উক্ত প্যানেলের নেতাকর্মীদের কমিটিতে স্থান দিতে শুরু করেন জোর লবিং। অপরদিকে আজিজুস সামাদ ডন অনুসারীরা কমিটিতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে জোর লবিং চালান। তারা নিজেদের বলয়ে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পদক পেতে মরিয়া হয়ে উঠেন। তিন পক্ষের লবিং এ জেলা নের্তৃবৃন্দ কমিটি গঠন স্থগিত রাখেন। সর্বশেষ সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমদ ও প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ আবুল কাশেমের মধ্যে ঐক্যমত হলে পুনাঙ্গ কমিটি চুড়ান্ত হয়। কিন্তুু পূনাঙ্গ অনুমোদিত কমিটিতে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমদ বলয়ের অধিকাংশ লোকজন স্থান পেলেও গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি পদে অন্য বলয়ের নেতাকর্মীরা স্থান পাওয়ায় এ বলয়ের নেতাকর্মীরা পুরোপুরি খুশি হতে পারেননি। অপরদিকে আজিজুস সামাদ ডন অনুসারীদের বেশ কিছু নেতা কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় তারা কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বশীলদের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে কমিটিতে বেশকয়েকজনকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিতে পারায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আবুল কাশেম বলয়ের লোকজন বেজায় খুশি। যদিও আবুল কাশেম বলয়ের প্রধান ব্যক্তি সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসান কমিটিতে স্থান পাননি। অভিযোগ উঠেছে, ভবেরবাজার-সৈয়দপুর -গোয়ালাবাজার সড়কের সংষ্কার কাজ নিয়ে সুনামগঞ্জের জনৈক ঠিকাদারের নিন্মমানের কাজের প্রতিবাদ করায় ওই ঠিকাদার জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্টজন হওয়ায় কমিটি থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। যদিও সন্মেলনে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আবুল কাশেম বলয়ের প্রার্থী হিসেবে জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল মনাফ সভাপতি ও সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্যানেল দাখিল করেন। পরবর্তী প্রতিটি প্যানেলে আবুল হাসানের নাম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ছিল। চুড়ান্ত কমিটিতে তার নামই রাখা হয়নি। অপরিদেক কমিটিতে স্থান পেয়েছেন নিস্কিয়, অযোগ্য ও বিএনপি ঘরনার লোকজন। তন্মেধ্যে বর্তমান উপজেলা বিএনপি নেতা মির্জা আবুল কাশেম স্বপনের ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা এডভোকেট মির্জা আবু তাহের মোহন পেয়েছেন আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আশারকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবু ঈমানী হয়েছেন সদস্য। অথচ ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা মদরিছসহ অনেকেই কমিটিতে স্থান পাননি। উপজেলা আওয়ামীলীগের গত কমিটিতে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাফিজ। কিন্তু এবার কমিটিতে তার স্থান হয়নি। গত কমিটির অনেকগুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সক্রিয় আওয়ামীলীগের নেতাদের স্থান হয়নি এবারের কমিটিতে। অথচ লন্ডন বসে উপজেলা ছাত্রলীগের গ্রস্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক বর্তমান যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ছরফ রাজ জুবের হয়েছেন সদস্য। লন্ডনে বসে অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন শিল্পপতি মাহবুবুল হক শেরিন। এছাড়া বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পৌর নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতাকারীরা পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ন পদ। এসব বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাশিম বলেন, আমরা সারাজীবন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। কমিটিতে নিজের নাম না দেখে বিস্মিত ছাড়া আর কিছু বলার নেই।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসান বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশে রাজনীতি করি। ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকাবাসীর অধিকার নিয়ে কথা বলা আমার দায়িত্ব। শুনেছি জনৈক ঠিকাদারের প্রভাবে কমিটি থেকে আমার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এজন্য আমার দুঃখ নেই। আমি আমার ইউনিয়নবাসীর অধিকার আদায়ে অবশ্যই সংগ্রাম করব। এবং আওয়ামীলীগের সাথে আছি থাকব। উপজেলা আওয়ামীলীগের নবগঠিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ। তিনি বলেন, কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন অনেক প্রবীণ,ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নের্তৃবৃন্দ। বিভিন্ন পদ পদবী পেয়েছে নিস্কয় ও বির্তকিতরা। কমিটিতে সম্ভাবনাময় ও গতিশীল নের্তৃত্বকে অবমুল্যায়ন করা হয়েছে। নৌকার বিরোধীতাকারীদের গুরুত্বপুর্ণ পদদিয়ে পুরুস্কৃত করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আবুল কাশেম বলেন, আমার কোন বলয় নেই। আমি চেয়েছি জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি সার্বজনীন হোক। জেলা নের্তৃবৃন্দ সেঠাই করেছেন। তিনি বলেন, জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমদের নের্তৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।

জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আকমল হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল এখানে পদ পদবী নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। জগন্নাথপুরের পূনাঙ্গ কমিটি নিয়ে কোন বিক্ষোভ নেই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩
Design & Developed By ThemesBazar.Com