স্টাফ রিপোর্টার
শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এনামুল হকের আচরণে হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাষক এনামুল হক গত ১৪ আগস্ট কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তুচ্ছ বিষয়ের কারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের হুমকি-ভয় দেখানো ও অভিভাবকদের গালিগালাজ করেছেন।
এঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক শনিবার কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রভাষক এনামুল হক কলেজের একাদশ শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থীকে ক্লাস চলাকালীন সময়ে সবার সামনে কান ধরে উঠ-বস করান। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের গালি-গালাজ করেন। শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হুমকি ও ভয় দেখান। এই ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষার্থীরা আর লজ্জা ও ভয়ে কলেজে যাচ্ছেন না। শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে লেখাপড়ায় মনযোগ হারিয়ে ফেলেছে।
শিক্ষার্থী অভিভাবক জয়সেন তালুকদার দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরকে বলেন,‘ শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্রদের অভিভাবক। ছাত্ররা কোন দোষ করলে অবশ্যই তারা বিচার করবেন। কিন্তু এভাবে সবার সামনে অপমান ও আমাদের গালিগালাজ কেন করলেন। শাস্তি দিয়েছেন, অপমান করেছেন, পাশাপাশি ভয় দেখিয়ে তিনি হুমকিও দিয়েছেন। শিক্ষকদের কাছ থেকে কোন অভিভাবক এসব আশা করেন না।’
তবে অভিযোগের বিষয়ে প্রভাষক এনামুল হক বলেন,‘ওই দিন শিক্ষার্থীরা আমার ক্লাসের সামনের বারান্দায় নানা ধরনের কথাবার্তা বলছিল। আমি তাদেরকে ডেকে ধমক দিয়েছি, বলেছি তোমরা কানে ধর। এর বেশী কিছু বলিনি। আমি কোন শিক্ষার্থীকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করিনি, বা তাদের অভিভাবকদের গালি-গালাজ করিনি। শিক্ষার্থীরা আমার সন্তানের মত, আমি তাদেরকে ¯েœহ করি।’
শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেন,‘ প্রভাষক এনামুল হক নাকি কয়েক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন ও অভিভাবকদের গালিগালাজ করেছেন, এরকম একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। খুব শীঘ্রই সবাইকে নিয়ে বসে মূল বিষয়টি জানা হবে ও নিষ্পত্তি করা হবে।’
Leave a Reply