1. forarup@gmail.com : jagannthpur25 :
  2. jpur24@gmail.com : Jagannathpur 24 : Jagannathpur 24
দুই উপজেলার ‘সেতুবন্ধন কালে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত- ভাটি বাংলার উন্নয়নে সামাদ আজাদের সূচিত ধারাকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি - জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০০ অপরাহ্ন

দুই উপজেলার ‘সেতুবন্ধন কালে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত- ভাটি বাংলার উন্নয়নে সামাদ আজাদের সূচিত ধারাকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি

  • Update Time : শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৫
  • ৮১৪ Time View

জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডেস্ক:: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও দিরাই উপজেলার শেষ সীমান্তে অবস্থিত কামারখালী নদী। এ নদীতে একটি ব্রিজের অভাবে দুই উপজেলার লাখো মানুষ চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। এনিয়ে ২০১২ সালে নদীর দুই পারে দুই মন্ত্রী থাকার পর দুই উপজেলার সেতুবন্ধন হয়নি শিরোনামে জাতীয় স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি সুনজরে নেন দিরাই-শাল্লার নির্বাচিত প্রতিনিধি প্রবীণ রাজনীতিবীদ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। তিনি তাৎক্ষনিক সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে কামারখালী নদীতে সেতু নিমাণের প্রকল্প গ্রহনের নিদের্শ দেন। সেই মোতাবেক কাজ শুরু হয়। সেতু বাস্তবায়নের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে গতকাল শনিবার বিকেলে সেই সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রবীন রাজনীতিবীদ দিরাই-শাল্লার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দিরাই সেতুটির কাজ বাস্তবায়ন করে। ৭০ মিটির দৈর্ঘ্য সেতুটি এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। সেতুটি উদ্বোধন করে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, ভাটি বাংলার উন্নয়নে প্রয়াত জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের শুরু করা উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে আমি কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভাটি অঞ্চলের যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। তিনি দিরাই-আজমিরীগঞ্জ হয়ে জগন্নাথপুরের আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের সাথে একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণের আশ্বাস দেন। সেতু উদ্বোধকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন চৌধুরী, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, জগদল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম,জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম বকুল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাফিজ যুক্তরাজ্য প্রবাসী জিল্লুর রশীদ লীল সহ জগন্নাথপুর ও দিরাই উপজেলার আওয়ামীলীগ অঙ্গসংগঠনের নের্তৃবৃন্দ। পরে তিনি দিরাই উপজেলার রায়বাঙ্গালী বাজার স্থানীয় আওয়ামীলীগ আয়োজিত উন্নয়ন সভায় বক্তব্য রাখেন। জগদল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ছবা মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দিরাই পৌরসভার মেয়র আজিজুল ইসলাম বুলবুল,আওয়ামীলীগ নেতা এডঃ ছৈইল মিয়া,শহিদুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
সেতুটি বাস্তবায়িত হওয়ায় নদী পাড়ের দুই উপজেলার গ্রামবাসীর মধ্যে অন্যরকম আনন্দ বিরাজ করছে। ডাকঢোল বাজিয়ে সেতুপারে লোকজন আনন্দ উৎসব করেছেন।
কামারখালী নদীর দুই পারের বাসিন্দারা জানান, নদীর একপাড়ে জগন্নাথপুরের নলুয়া হাওর বেষ্টিত উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ভুরাখালী, দাসনোয়াগাও, সমধল, গাদিয়ালা বেতাউকা সহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। অন্যদিকে দিরাই উপজেলার শেষ প্রান্তে জগদল ইউনিয়নের হালেয়া, টংগর, মাতারগাঁও, কলিয়ারকাপন, জগদল, নগদিপুর, রাজনগর, হামাদুর, বোয়াইলা, কুলঞ্জসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসতি। উপজেলার শেষ সীমানায় তাদের অবস্থান থাকায় উন্নয়ন থেকে তারা কিছুটা বঞ্চিত ছিলেন। নদীর পূর্ব পারে জগন্নাথপুরের ভূরাখালী গ্রামে স্বাধীন বাংলার প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় রাজনীতিতে চাচা বলে পরিচিত প্রয়াত জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদের বাড়ি। প্রয়াত এ জাতীয় নেতা আওয়ামীলীগ সরকারের দুইবারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও একবারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। আর পশ্চিমপারে দিরাই শাল্লার সাত বারের সংসদ সদস্য সাবেক রেলমন্ত্রী জাতীয় রাজনীতিতে দাদা হিসেবে পরিচিত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের বাড়ি। তিনি ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে প্রধানমন্ত্রীর সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ও পরবতীতে আওয়ামীলীগ সরকারের রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাবশালী এ দুই মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার হাওরপারের বাসিন্দারা একটি সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তিতে ছিলেন।
দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, কামারখালী নদীতে বহুল প্রত্যাশিত সেতু নির্মান করার ফলে দুই উপজেলার সদরের সাথে লাখো মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ ব্যবসা-বানিজ্যের সার্বিক উন্নয়নের দোয়ার খুলে গেল। লাঘব হলো দীঘদিনের জনদুর্ভোগ। তাই জগন্নাথপুর ও দিরাই উপজেলার সীমান্তপাড়ের গ্রামবাসী আনন্দিত।
নদীরপাড়ের বাসিন্দা ভুরাখালী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ পূরণ হলো। সেতু নির্মিত হওয়ায় দুই উপজেলার সদরের সাথে যোগাযোগের সুবিধার পাশাপাশি দুই উপেজেলার মানুষের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো সুদৃঢ হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে ভাটি বাংলার দুই সিংহ পুরুষ হিসেবে খ্যাত প্রয়াত জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদ ও সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের উন্নয়নের দিগন্ত হিসেবে এ সেতু দুই উপজেলার সেতুবন্ধন রচনা করবে। তিনি জানান, সেতু নির্মানের আগেই হাওরের মধ্য দিয়ে আব্দুস সামাদ আজাদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে সেতু নির্মানের বাস্তবতা জাগিয়ে তুলেন। পরবতীতে তারই ধারাবাহিকতায় জগন্নাথপুর-দক্ষিন সুনামগঞ্জের নির্বাচিত সংসদ সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে জগন্নাথপুর অংশের অসমাপ্ত সড়কের কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেয়ায় এখন সত্যিকারভাবে দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হল। সেতুটি ভাটি অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নে নব দিগন্তের সূচনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যায়ে সেতুটির কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের সেতুটির কাজ শেষ হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার মাধ্যমে দুই উপজেলার সেতুবন্ধন স্থাপিত হল।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩
Design & Developed By ThemesBazar.Com