স্টাফ রিপোর্টার:: ‘আমাকে গ্রেফতার করুণ কারণ আমিও নৌকায় ভোট দিয়েছিলাম। ফেসবুক স্ট্যাটার্সে জগন্নাথপুর উপজেলা যুবলীগের শিক্ষা প্রশিক্ষন ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেজ জুয়েল মিয়া এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন। জুয়েল জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আবুল হাসানের নৌকা প্রতীকে সমর্থনে যারা সক্রিয় কাজ করছিলেন আজ তারা গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নৌকার এক সমর্থককে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। স্থানীয় সৈয়দপুর বাজারে রাদিস কমপ্লেক্স এর ব্যবসায়ী আওয়ামীলীগের সমর্থক মারজানা কুরেশী নৌকার পক্ষে কাজ করেছিলেন। এই অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। নৌকার সমর্থক ও কর্মীরা এখন জগন্নাথপুর থানা পুলিশের গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ প্রার্থী আবুল হাসান জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আমার প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থীর অর্থের খেলার কাছে কতিপয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গুটিকয়েক আওয়ামীলীগ নামধারি বিক্রি হয়ে গেছেন। যেকারণে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার সড়ষন্ত্র চলছে।আমার প্রতিদ্বন্ধীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নৌকার কর্মীদের গ্রেফতার করে হয়রানী করে পুলিশ এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তের প্রেক্ষিতে আসামিকে গ্রেফতার করেছেন। পুলিশ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে।
উল্লেখ্য গত ২৮ মে জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নে একটি ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জনের নামউল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা কয়েকশত জনের নামে একটি মামলা হয়। উক্ত মামলায় পুলিশ আওয়ামীলীগ ও নৌকা মার্কার সমর্থকদেরকে গ্রেফতার করতে মাঠে নামে।
Leave a Reply