স্টাফ রিপোর্টার::জগন্নাথপুর উপজেলার ২নং পাটলী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান কর্তৃক পবিত্র ঈদুল ফিতরের ভিজিএফ এর চাল বিতরনে অনিয়ম ও ৯নং ওয়ার্ডের ত্রাণ গ্রহিতাদের শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে গতকাল এক প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সোমবার বিকাল ৪ ঘটিকায় স্থানিয় লোহারগাঁও নতুন বাজারে বিশিষ্ট মুরুব্বি গয়াছ মিয়ার সভাপতিত্ত্বে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় সর্বসসম্মতিক্রমে বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রাজাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা এবং আইনি পদক্ষেপ হিসেবে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবর স্বারক লিপি প্রদান এবং বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রাজাকে দায়িত্ত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আগ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের সকল ত্রান সামগ্রি গ্রহন থেকে বিরত থাকার সিদ্দ্বান্ত গৃহিত হয়।
জানা যায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ এর চাল বিতরনের নির্ধারিত তারিখ রোববার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ইউ পি সদস্যদের ১৩০ জন ও মহিলা সদস্যদের ১৩০ জন করে ভিজিএফ গ্রহিতা ত্রান সামগ্রি আনতে গেলে প্যানেল চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রাজা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড় করিয়ে রেখে ১০ কেজির স্থলে ৫/৬ কেজি করে চাল বিতরন শুরু করেন। এর মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যান তার নিজ ওয়ার্ড ৬নং ওয়ার্ডের লোকজনকে স্বজন প্রিতির মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডের লোকজনের সাথে ১০/১৫ জন করে দিতে তাকেন। এ নিয়ে উপস্থিত লোকজনেরা বিশেষত ত্রাণ প্রাপ্তিতে সর্বদা অবহেলিত ৯নং ওয়ার্ডের কিছু সংখ্যক প্রতিবাদি লোক ত্রান বিতরনে অভিযোগ এনে প্যানেল চেয়ারম্যানের কাছে কারন জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পরিষদের গ্রাম পুলিশ ও তার নিজস্ব লাটিয়াল বাহিনী দিয়ে এলোপাতারি প্রহার শুরু করে ভিজিএফ গ্রহিতাদের ছত্রভংগ করে দেন, ছত্রভংগ হওয়ার পর স্থানিয় লোহার গাঁও গ্রামের উমরা মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া প্যানেল চেয়ারম্যানকে উনার বাহিনীকে শান্ত করার অনুরোধ করলে তিনি আবার ও উত্তেজিত হয়ে হারুনকে আটক করার নির্দেশ দেন। প্যানেল চেয়ারম্যানের হুকুম পেয়ে তার লাটিয়াল বাহিনী তাকে চেয়ারম্যানের খাস রোমে নিয়ে আটক করে রাখেন। উপস্থিত জনতা হারুন কে আটক থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তার লাটিয়াল বাহিনি আবার ও লাটি চার্জ করেন, এতে মহিলা সহ অনেকে আহত হন। ২য় দফা লাটি চার্জের পর ৯নং ওয়ার্ডের বেশির ভাগ লোকজন ভিজিএফ এর চাল না নিয়ে ফিরে আসেন এবং স্থানিয় মুরুব্বিদের বিষয়টি অবগত করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে প্যানেল চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রাজা জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,চাল বিতরনের সময় ৯নং ওয়ার্ডে চাল গ্রহিতারা নিয়মনীতি লঙ্গন করে আগে চাল নেয়ার জন্য উত্তেজিত হয়ে ইউনিয়নের দফাদারদের মারধর করেন। খবর পেয়ে আমি পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে আমার ওপর ও চড়াও হয় ওই ওয়ার্ডের লোকজন। আমি শারিরীকভাবে কাউকে লাঞ্চিত করিনি। চাল বিতরণ করেছেন স্ব স্ব ওয়ার্ডের সদস্যরা। অহেতুক একপক্ষ বিষয়টি অতিরঞ্জিত ভাবে প্রচার করছে।
Leave a Reply